สล็อต สล็อต หวยออนไลน์ สล็อต หวยออนไลน์
বাংলাদেশের জে-১০সি ক্রয়: পাকিস্তানের সাফল্য থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি সমন্বিত নেটওয়ার্কভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব!

বাংলাদেশের জে-১০সি ক্রয়: পাকিস্তানের সাফল্য থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি সমন্বিত নেটওয়ার্কভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব!

প্রকাশকাল: অক্টোবর ২০, ২০২৫
*No Image

২০২৫ সালে পাকিস্তান-ভারত সংঘর্ষে পাকিস্তান তাদের জে-১০সি যুদ্ধবিমান ও পিএল-১৫ মিসাইল ব্যবহার করে ভারতের অত্যাধুনিক রাফাল ধ্বংস করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। মাত্র ১০০ ঘণ্টার এই তীব্র সংঘর্ষে পাকিস্তান এয়ার ফোর্স ভারতীয় বিমানবাহিনীকে কার্যত অকেজো করে দেয়। এই সাফল্যের মূলে ছিল শুধু জে-১০সি নয়, বরং একটি সমন্বিত নেটওয়ার্কভিত্তিক যুদ্ধ (Network-Centric Warfare - NCW) কাঠামো এবং ‘সিস্টেম অব সিস্টেমস’। পাকিস্তানের AWACS (Airborne Warning and Control System) বিমান দূর থেকে শত্রু শনাক্ত করে নির্দেশনা প্রদান করেছে এবং পিএল-১৫ এর নিজস্ব রাডার বন্ধ রেখে মিসাইলকে ইনিশিয়ালি AWACS গাইড করেছে বলেও শোনা যায়, যাতে পিএল-১৫ ভারতের রাডারে ধরা না পরে, উন্নত রাডার নেটওয়ার্ক শত্রুর গতিবিধি নিখুঁতভাবে ট্র্যাক করেছে, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম ভারতের রাডার ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করেছে, আধুনিক কমান্ড সেন্টার রিয়েল-টাইমে ডেটা সমন্বয় করেছে, যোগাযোগ জ্যামার শত্রুর কমিউনিকেশন অচল করেছে, এবং চীনা স্যাটেলাইট প্রযুক্তি গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছে। এই সমন্বিত ‘সিস্টেম অব সিস্টেমস’ জে-১০সিকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে।

এখন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আসা যাক। আমরা জে-১০সি ক্রয় করছি, যা বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে আধুনিকায়নের পথে এগিয়ে নেবে। কিন্তু পাকিস্তানের মতো কার্যকর ফলাফল অর্জন করতে হলে শুধু উন্নত যুদ্ধবিমান কেনা যথেষ্ট নয়। আমাদের গড়ে তুলতে হবে একটি সমন্বিত নেটওয়ার্কভিত্তিক যুদ্ধ ব্যবস্থা। এর জন্য প্রয়োজন AWACS বিমান, যা দূর থেকে শত্রু শনাক্ত করে বিমান নিয়ন্ত্রণ করবে। শক্তিশালী রাডার নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে হবে, যা সীমান্তে শত্রুর গতিবিধি ধরতে পারবে। ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তির মাধ্যমে শত্রুর রাডার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অকেজো করার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। আধুনিক কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার গড়ে তুলতে হবে, যা রিয়েল-টাইমে ডেটা সমন্বয় করবে। যোগাযোগ জ্যামার প্রযুক্তি দিয়ে শত্রুর কমিউনিকেশন বন্ধ করার সক্ষমতা দরকার। চীনের সাথে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, আমাদের পাইলট ও ক্রুদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা এই ‘সিস্টেম অব সিস্টেমস’-এর পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারে।

জে-১০সি শুধু একটি যুদ্ধবিমান নয়, এটি একটি সমন্বিত নেটওয়ার্কভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশ এখনই এই ক্ষেত্রে কৌশলগত বিনিয়োগ করলে আমাদের বিমানবাহিনী নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা অভেদ্য হবে।

নিউজ ক্যাটাগরি:
এই সংবাদটি শেয়ার করুন: