রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন
প্রকাশকাল: আগস্ট ১, ২০২৫
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠায় গঠন করা হয়েছে একটি তদন্ত আদালত। অভিযোগটি একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে প্রাপ্ত হওয়ার পর বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নেয় সেনাবাহিনী।
জানা গেছে, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই গত ১৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে রাজধানীর উত্তরা এলাকার নিজ বাসস্থান থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্ত শেষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনা আইনে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে এই বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।
এছাড়া, তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা এবং দায়িত্বে অবহেলার বিষয়েও আরেকটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত শেষে আদালতের সুপারিশ অনুযায়ী সেনা আইনে দায়িত্ব নিরূপণ করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটি একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং পেশাদার প্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক কার্যকলাপে সংশ্লিষ্ট যেকোনো সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনী সর্বদা পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা ও সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।